এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নতুন চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ নারী দল
টানা দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ নারী JVf দলকে ঘিরে সমর্থকদের প্রত্যাশা এখন আকাশচুম্বী। এবার সেই প্রত্যাশার ছোঁয়া পেতে চলেছে এশিয়ার মঞ্চে। এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হলে আগে পেরোতে হবে বাছাই পর্বের কঠিন চ্যালেঞ্জ। আগামীকাল মিয়ানমারে শুরু হচ্ছে সেই লড়াই।
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ বাহরাইনের বিপক্ষে, ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাংলাদেশ সময়)। 'সি' গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আরও দুটি দল—স্বাগতিক মিয়ানমার ও তুর্কমেনিস্তান। এদিন রাত সাড়ে ৯টায় খেলবে মিয়ানমার ও তুর্কমেনিস্তান।
সাফ জয় পরবর্তী সময় থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি। এ সময় চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে দলটি—দুটি হারে আরব আমিরাতের কাছে, দুটি ড্র করেছে জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে।
তবে দলটিতে এসেছে বড় পরিবর্তন। ফেব্রুয়ারিতে কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান সিনিয়র ১৮ ফুটবলার, যার প্রভাবে বাদ পড়েন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন, উইঙ্গার সানজিদা ইসলাম ও সুমাইয়া মাতসুশিমা। তরুণদের নিয়ে নতুন করে দল গড়েছেন কোচ পল বাটলার।
বাফুফের ক্যাম্পে থাকা বয়সভিত্তিক দলের খেলোয়াড়রা সুযোগ পেয়েছেন সিনিয়র দলে। যদিও আমিরাত সফরে প্রত্যাশা মেলেনি, তবে জর্ডানের তিন জাতি প্রীতি টুর্নামেন্টে ভালো করেছে দল, বিশেষ করে ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা ও শামসুন্নাহারদের পারফরম্যান্সে।
প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে কোচ বাটলার জানান, “আমরা জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৭ ও ২০ দলের তিনটি প্রকল্প একসাথে চালাচ্ছি। অর্ধেকের বেশি খেলোয়াড়ই অনূর্ধ্ব-২০, পাইপলাইন শক্ত। ফ্যাসিলিটিজ কম হলেও মেয়েরা লড়াকু মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে।”
বাহরাইনকে শক্ত প্রতিপক্ষ মনে করছেন বাটলার, “তাদের প্রতি সম্মান রয়েছে, জিততে হলে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।” অন্যদিকে বাহরাইনের কোচ মোহাম্মেদ আদনানও আত্মবিশ্বাসী, “আমরা সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রস্তুতি নিয়েছি, এবার ভালো ফুটবল উপহার দিতে চাই।”
মিয়ানমারের পরিবেশ যেমন নতুন, তেমনি বাহরাইনকেও কখনও আগে মোকাবিলা করেনি বাংলাদেশ। তাই কালকের ম্যাচেই অনেক কিছু বোঝা যাবে নতুন গড়া দলটির সক্ষমতা।