আরবি মাস চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় । পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার বিশেষ করে আগে চাঁদ নিয়ে বিশ্বের সব মুসলমানদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তখন সবাই নতুন চাঁদের অপেক্ষা করে।
আরবি মাস নির্ধারণ চাঁদ দেখে যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে ঈদ করো।” তিনি আরও বলেছেন, “তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না এবং তা না দেখা পর্যন্ত রোজা ছেড়ে দিও না।”
তবে গত কয়েক বছর ধরে ইসলাম ধর্মের জন্মস্থান সৌদি আরবের সরকার তাদের জ্যোতির্বিদদের গণনার মাধ্যমে তৈরি করা ক্যালেন্ডার ‘উম আল কুরা’ দেখে রোজা ও ঈদের হিসাব আগে থেকেই ঘোষণা করে দিচ্ছে। যা গত ২৬ মার্চ পবিত্র রমজান মাস চলার সময় জানিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই।
সংবাদমাধ্যমটি উল্লেখ করেছিল, এ বছর সৌদি আরবে ২৯তম দিনে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রায় সব জ্যোতির্বিদ। কিন্তু সৌদি চাঁদ না দেখেই ঈদের ঘোষণা দিতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছিল, সৌদি চাঁদ ওঠার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এমনকি দেশটির কোনো সাধারণ মানুষও চাঁদ দেখেননি। তা সত্ত্বেও সৌদির সরকার ২৯তম রোজায় ঈদের ঘোষণা দিয়েছিল। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
রোজা ও ঈদুল ফিতরের পর চলে এসেছে আরেক ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। সৌদির সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এবার সৌদিতে ঈদ হবে ৬ জুন। আর আরাফাতের দিন হবে ৫ জুন।
সৌদি আজ রোববার (২৭ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের অনুসন্ধান করতে সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে ২৭ মে সন্ধ্যায় জিলকদ মাসের ২৯তম দিন পড়বে। এদিন যেন সবাই জিলহজ মাসের নতুন চাঁদের অনুসন্ধান করেন। তবে তাদের ‘উম আল কুরা’ ক্যালেন্ডারে আগে থেকেই দেওয়া আছে ২৮ মে হবে জিলহজ মাসের প্রথমদিন। আর ৬ জুন শুক্রবার হবে ঈদুল আজহা।