ঈদ মানে বাড়তি খাবার আয়োজন। আবার যদি হয় কোরবানির ঈদ তাহলে কথা নেই শুধু মাংসের বিভিন্ন প্রকার রান্না আর খাবার । কিন্তু যদি সে ঈদ হয় জ্যৈষ্ঠের মাসের শেষের দিকে ও গরম সময়ে । বিভিন্ন মানুষের গরু কিংবা খাসি মাংসে সমস্যা হতে পারে। সে বিষয় চিন্তা রেখে মাংস খাওয়া দাওয়া করা উঠিত।
ঈদের সময় কোন নিয়ম মানা খুব কমই হয়ে হয়ে থাকে। যেহেতু সবারই গরু বা খাসির মাংস খাওয়া হয়। মাংস যেমন মজাদার খাবার , ঠিকতেমনি আছে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন। মাংসকে রেড মিট বলা হয় গরু, খাসি, উট, দুম্বা, মহিষ বা ভেড়ার মাংস। যার কারনে রক্তস্বল্পতা রোধ, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি সহ শরীরে রোগ প্রতিরোধসহ নানারকম উপকারিতা রয়েছে।
কিন্তু মনে রাখতে হবে পরিমিত পরিমানে মাংস খাওয়া। কারন বেশি গরমে গরমে লাল মাংস বেশি সময় খাওয়া হলে শরীরে মধ্যে বিভিন্ন প্রকার রোগ- এমনটাই বলছেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ।
ডা. এস এম মাসুদ আরো জানানা, গরু, খাসি, মহিষ, ভেড়ার মাংসকে লাল মাংস বা রেড মিট বলা হয়। লাল মাংসে মায়োগ্লোবিন নামক উপাদান বেশি থাকার কারণে মাংস লাল থাকে। এই সব মাংসে উচ্চমাত্রার চর্বি ও কোলেস্টেরল থাকায় খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি থেকে যায়।
কোরবানী ঈদের সময় বেশি গরু বা খাসি কোরবানি হয়। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে মাংস খাওয়ার বিষয়ে। বিশেষ করে গরুর মাংস একটি চর্বিযুক্ত হয়। প্রতিটি আঁশের মধ্যেই চর্বি থাকে।
সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলেন, চর্বি যুক্ত মাংসের বেশি খাওয়ার ফলে সেটা রক্তনালীর মধ্যে জমা হতে পারে। যার কারনে স্ট্রোক ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ হতে পারে। মানুষ মোটা হয়ে যেতে পারে অতিরিক্ত চর্বির মাংস খাওয়ায়।
ঈদের সময় বেশি মাংস থাকায় বিভিন্নভাবে মাংস রান্না হয়। মাংস সঠিক ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ না করে বেশির ভাগ মানেুষ কাবাব খাবারের মত করে মাংস পুড়িয়ে খায়। যা আামাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হতে পারে।
ডা. এস এম মাসুদ জানান, মাংস পুরোপুরি সিদ্ধ করে খেলে করলে যতটা নিরাপদ হয়, আগুনে পোড়ালে ততটা নিরাপদ হয় না। তাই সঠিকভাবে মাংস রান্না করে খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। সেইসঙ্গে একবার খেতে বসলে ৩/৪ টুকরার বেশি না খাওয়া ভালো। একটু গ্যাপ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কারণ একটা মাংসে যখন ফ্যাট থাকে তা হজম হতে ৬/৭ ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ আরো বলেন , ভালোভাবে সিদ্ধ করে মাংস খাওয়া যতটুকু নিরাপদ হয় আর আগুনে পোড়ালে ততটুকু নিরাপদ থাকে না। সে জন্য প্রত্যকেই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী মাংস রান্না করা প্রয়োজন। এবং এক সাথে ৩/৪ টুকরার বেশি মাংস না খাওয়া শরীর জন্য ভালো। সময় বিরতি দিয়ে দিয়ে খাওয়া কারণ ৬/৭ ঘন্টার বেশি সময় লাগে মাংস হজম হতে, যেহেতু মাংসে ফ্যাট থাকে।