১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় থাকবেন,মূল বেতনের ১৫ শতাংশ এবং ১ থেকে ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ শতাংশ হারে এ ভাতা পাবেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) এই প্রজ্ঞাপনে, অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনার স্বাক্ষরে জানানো হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পুনঃস্থাপিত পেনশনারসহ সব পেনশনভোগীদের জন্য এ সুবিধা করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে গ্রেডভেদে এ ভাতা কার্যকর করা হবে। গ্রেড ১ থেকে ৯ পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং গ্রেড ১০ থেকে ২০ পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা ভাতা’ পাবেন।
চাকরিরত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ভাতার ন্যূনতম পরিমাণ ১,০০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের জন্য এটি হবে কমপক্ষে ৫০০ টাকা হারে প্রদান হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে প্রতিবছর ওই তারিখে প্রযোজ্য মূল বেতনের ওপর ভিত্তি করে গ্রেড ১ থেকে ৯ পর্যন্ত চাকরিরত কর্মচারীরা ১০ শতাংশ হারে এবং গ্রেড ১০ থেকে ২০ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ ভাতা পাবেন চাকরিরত কর্মচারীরা ।
পিআরএলে গমনের আগে যে মূল বেতন পেতেন, সেই বেতনের ভিত্তিতে উল্লিখিত গ্রেড অনুযায়ী এই সুবিধা প্রাপ্য হবেন। অবসর প্রাপ্ত-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা।
এছাড়া, পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীসহ যাঁরা সরকার থেকে পেনশন গ্রহণ করেন, তাঁরাও তাঁদের বিদ্যমান পেনশনের ওপর উল্লিখিত হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন।
তবে যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁদের ১০০ শতাংশ গ্রস পেনশন এককালীন আনুতোষিক হিসেবে তুলে নিয়েছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের উপযুক্ততা অর্জন করেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় বেতনস্কেলের নির্দিষ্ট কোনো গ্রেডে চুক্তিভিত্তিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে তাঁদের চুক্তিভুক্ত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে আহরিত সর্বশেষ মূল বেতনের ভিত্তিতে।
তবে শর্ত থাকে, যদি উক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা পেনশনভোগীও হন, সেক্ষেত্রে তিনি এককভাবে হয় পেনশনের বিদ্যমান অংশ অথবা চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার ঠিক পূর্বে আহরিত মূল বেতনের ওপর ভিত্তি করে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে, বরখাস্তের তারিখের ঠিক আগের মূল বেতনের ৫০ শতাংশের ওপর গ্রেডভিত্তিক হারে এ ভাতা প্রদান করা হবে।
অন্যদিকে, যেসব কর্মচারী বিনা বেতনে ছুটিতে (লিভ উইদাউট পে) রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রযোজ্য হবে না।