নাগরিকের সরকারী সেবা সমূহ যেমন-পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) ও ভূমি সেবাসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা সহজে হাতের নাগালে পাওয়া যাবে সেই পরিকল্পনায় করেছে সরকার। প্রথমিক ভাবে কয়েকটি সেবাকেন্দ্র কার্যক্রম চালো করেছে সরকার। পর্যাক্রমে সারা দেশে এই সেবাকেন্দ্র চালো করা হবে।
বর্তমানে এসব কেন্দ্রে সরকারি সেবার ক্ষেত্রে শুধু আবেদনপ্রক্রিয়া–সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে। সরকারের লক্ষ্য হলো—সব সেবাকে পারস্পরিক কার্যক্রম সুবিধার (ইন্টার-অপারেবিলিটি) মাধ্যমে একটি গেটওয়ে করা এবং এসব কেন্দ্র থেকেই পুরো সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করা। গেটওয়ে হলো নেটওয়ার্ক যন্ত্র, যা একাধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।
এখন সেবা কেন্দ্র গুলোতে আবেদন প্রকিক্রয়া মধ্যমে সেবা সমূহ পাওয়া যাবে। সরকারে পরিকল্পনা সব সরকারি সেবা একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত করে (ইন্টার-অপারেবিলিটি) এসব কেন্দ্র থেকেই সম্পূর্ণ সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এটি বাস্তবায়নে ‘গেটওয়ে’ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে, যাহা বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান করা সহজ করবে। এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে এই প্ল্যাটফর্মে।
নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, খাজনা, মিউটেশন এবং অনলাইন জিডির আবেদনপ্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের সহায়তা করবেন তাঁরা। এই কাজের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁরা সরকার নির্ধারিত ফি নেবেন। কোন সেবার ফি কত তা তালিকা আকারে কেন্দ্রে টাঙানো থাকবে।
নাগরিক সেবা উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ সেবা প্রদান করা হবে। তারা জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, খাজনা, মিউটেশন এবং অনলাইন জিডির আবেদন প্রক্রিয়ায় দ্বারা গ্রাহকদের সহায়তা করবেন । এ জন্য সেবা প্রার্থী গ্রাহক নির্ধারিত সরকারী ফি প্রদান করবেন। সেবার ধরন অনুযায়ী ফি তালিকা আকারে সেবা কেন্দ্রে প্রকাশ করা থাকবে, যাতে গ্রাহক সেবার আগে ফি ও পদ্ধতি জেনে নিতে পারে ।